প্রশাসনিক ভবন
মেইন গেইট অভ্যন্তরীন রাস্তা
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিগত ১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম সভায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এ ২৩২ একর জমিতে একটি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আইটি/আইটিএস সেক্টরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে।
“তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধাদি যেমন-হাই-টেক পার্ক, সফট্ওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি পার্ক, আইটি ইনকিউবেটর ইত্যাদি স্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার ঘটানো।”
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের ২৩২ একর জমি সংলগ্ন বিটিসিএল এর ৯৭.৩৩ একর জমি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক, গাজীপুর কর্তৃক ইতোমধ্যে রিজিউম করা হয়েছে, যা গেজেটের জন্য প্রক্রিয়াধীন। হাই-টেক পার্ক তৈরির সহায়ক অবকাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে Basic Infrastructure for Hi-Tech Park (1st phase) at Kaliakoir, Gazipur. শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তার মাধ্যমে প্রশাসনিক ভবন, মূলসড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান করা হয়। কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে হাই-টেক শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে। হাই-টেক পার্কে যে সকল হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উৎপাদিত হবে তা দেশে ব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি হ্রাস পাবে এবং বিদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, প্রায় ৭০ হাজারেরও অধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফরওয়ার্ড-ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান হবে।
হাই-টেক পার্কটি সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় পিপিপি মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। উল্লেখিত ২৩২ একর জমিকে নিম্নরূপ ৫টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে।
ব্লক নং |
জমির পরিমাণ |
প্রধান স্থাপনাসমূহ |
ব্লক-১ |
৬৫ একর |
প্রশাসনিক ভবন, হাসপাতাল, কাস্টম হাউজ, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, শপিংমল, আবাসিক এলাকা ইত্যাদি। |
ব্লক-২ |
৬২ একর |
মাল্টি টেন্যান্ট বিল্ডিং, শিল্প এলাকা, কনভেনশন সেন্টার, হোটেল |
ব্লক-৩ |
৪০ একর |
মাল্টি টেন্যান্ট বিল্ডিং, শিল্প এলাকা |
ব্লক-৪ |
৩৬ একর |
শিল্প এলাকা, হেলিপেড |
ব্লক-৫ |
২৯ একর |
শিল্প এলাকা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। |
জমির ম্যাপ
বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের আওতায় আভ্যন্তরীণ রাস্তা, জনগণের জন্য বিকল্প রাস্তা, সড়ক বাতি, প্রশাসনিক ভবন, সীমানা প্রাচীর, গেটওয়ে, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, পাম্প হাউস ও গভীর নলকূপ স্থাপন, ইন্টারনেট কানেকটিভিটি, নিরাপত্তারক্ষীদের সেড, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি স্থাপনের কাজ চলছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কালিয়াকৈর পার্কের সাথে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য একটি রেল স্টেশন স্থাপন এবং সাটল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী ২০১৭ সাল হতে কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে।
.................................................................................................................................
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের ব্লক ২ এবংব্লক ৫ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর।
সামিট টেকনোপলিস এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
গত ২৮ জুন সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড মার্চেন্টিয়াল কর্পোরেশন (এসআইএমসিএল), ভারতীয় কোম্পানি ইনফিনিটির যৌথ কনসোর্টিয়াম এবং সামিট টেকনোপলিসের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে হাই-টেক পার্ক অথোরিটি। টেকনোপলিস হাই-টেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নে ১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। তারা পার্কের ২ এবং ৫ নম্বর ব্লকের অবকাঠামো উন্নয়ন করবে। সামিট টেকনোপলিস ২৮/০২/২০১৬ তারিখ পার্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২ এবং ৫ নম্বর ব্লকের ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
.................................................................................................................................
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের ব্লক ৩ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে টেকনোসিটি লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর।
বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
১১ আগস্ট ২০১৫ তারিখ গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের ৩ নং ব্লকের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হাই-টেক পার্ক কতৃপক্ষ। এ সময় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের এমডি হোসনে আরা বেগম এবং বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী নিজ নিজ পক্ষে সে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি আগামী ৪০ বছরের জন্য টেকনোসিটি লিমিটেড পার্কের ৩ নম্বর ব্লকে নকশা প্রণয়ণসহ অবকাঠামো নির্মাণ করবে। ফাইবার@হোম কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড গত ১৫/১০/২০১৫ তারিখ পার্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১ নং ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আর এই কনসোর্টিয়ামের সাথে রয়েছে টেকনোলজি পার্ক মালেশিয়া ও আইরিশ কর্পোরেশনের জয়েন্ট ভেঞ্চার, এমএসসি টেকনোলজি সেন্টার এবং আলফা ইনফরমেটিকস লিমিটেড। পার্কের ৩ নং বাণিজ্যিক ব্লকটির উন্নয়ন কাজ করবে টেকনোসিটি। এটি ৪০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। চুক্তি অনুয়ায়ী তারা এই ব্লকে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।